মুস্তাফিজের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন তানজিদ ও সৌম্য। ব্যাটে-বলে শাসন করে বড় জয় তুলে নিলো বাংলাদেশ, এড়ানো গেল হোয়াইটওয়াশের অস্বস্তিও। হিউস্টনে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৫০ বল হাতে রেখে জিতেছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। তবে বাংলাদেশ সিরিজ হেরেছে ২-১’এ।
শনিবার (২৫শে মে) টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রায়ারে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্র মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫০ বল এবং ১০ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৬ উইকেট শিকার করে এই জয়ের অন্যতম নায়ক মোস্তাফিজুর রহমান।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকার। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে উইকেট শূন্য থেকে ৪৮ রান তুলতে পারে টাইগাররা। দুজনের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের ২৯ বলের ৪৩ রান এবং তামিমের ৪২ বলের অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৫০ বল এবং ১০ উইকেট হাতে থাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর এবং আন্ড্রিস গাউস। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। পঞ্চম ওভারে গাউসকে ফিরিয়ে টাইগারদের ব্রেকথ্রু এনে দেয় সাকিব আল হাসান।
পরের ওভারে ২০ বলে ১৮ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার জাহাঙ্গীর। এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি নিতিশ কুমার। ৯ বলে ৩ রান করেন তিনি। এরপর মিলিন্ড কুমার ২০ বলে ৭ রান এবং অ্যারেন জোনেস ৭ বলে ২ করে আউট হন। শ্যাডলি ফন শ্যালকউইককে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন কোরি এন্ডারসন। তবে শ্যাডলি ১৭ বলে ১২ রান এবং ১৮ বলে ১৮ রান করে আউট হন এন্ডারসন।
শেষ দিকে জাসদ্বীপ সিং ৭ বলে ৬ রান এবং কেনজিগে শূন্য করে আউট হলে নয় উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের পুঁজি পায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছয় উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়াও তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন এবং সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট নেন।